সারা বিশ্বে প্রতিনিয়ত মুসলমানের সংখ্যা বাড়তেছে। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ ইসলামের সুন্দর্য ও সত্যতা জানার পর জন্মগত ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান হতে আগ্রহ প্রকাশ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন দক্ষিন আফ্রিকার পেসার পারনেল।
তিনি বলেন, তবে কারো জন্যে নয়, ইসলামের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হওয়ার কারনেই এই ধর্ম গ্রহন করেন পারনেল।একসময় অনেকেই মনে করেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার হাশিম আমলা এবং বোলার ইমরান তাহিরই তাকে ইসলাম ধর্ম মেনে নিতে বাধ্য করেছেন।.
কিন্তু সেসময় এই ধারণাটিকে উড়িয়ে দিয়ে ওয়েন পারনেল বলেছিলেন, ‘যদিও আমি আমার নাম ‘ওয়ালিড’ ঠিক করেছি, তবে আমি চাই সকলে আমাকে আমার পূর্বের নামেই ডাকুক। আমি আমার দলের সকল কিছুতে সব সময় এগিয়ে থাকবো। আমার মূল লক্ষ্য থাকবে দলের জন্য সেরাটা দিয়ে খেলা। যেহেতু রোজার সময় চলে আসছে, আমি চাই সকলেই আমার এই সিদ্ধান্তটিকে ইতিবাচকভাবে নিক বা গ্রহণ করুক।
তিনি আরও বলেন, আমি একজন পেশাদার ক্রিকেটার এবং আমার জীবনের এ রকম সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ক্ষমতা ও সৎ সাহস আমার আছে। এই সিদ্ধান্তে দলের কোন সদস্য কিংবা অন্য কেউ আমাকে উদ্বুদ্ধ করেননি। আমি নিজেই আমার জন্য ভালোটা বেছে নিয়েছি।’
*যদিও তিনি তার ধর্ম পরিবর্তন করার কোন কারণ জানান নি, তবে একটি ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছিল যে তিনি নিয়মিত মুসলিম বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা দিতেন। আর সেখান থেকেই তিনি ইসলাম ধর্মের আলোয় আলোকিত হন এবং এই ধর্মে উৎসাহী হয়ে পড়েন।
জানা গেছে, তিনি ইসলাম গ্রহনের পর ইসলামে নিষিদ্ধ পানি এলকোহল থেকেও বিরত আছেন।